শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশঃ মে ২৪, ২০১৭ সময়ঃ ১:৩৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:০৭ অপরাহ্ণ

শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত (ফাইল ছবি)

ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় আলোচিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে এক ঘুষের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আজ বুধবার পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত এই আদেশ দেন।

বাদীর পাক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান। শ্যামল কান্তির পক্ষে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগম এই মামলার বাদী।

মোর্শেদা বেগমের অভিযোগ, চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে তার কছে থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও শ্যামল কান্তি তা করে দেননি। টাকা ফেরত চাইলে তা দিতেও অস্বীকার করেছেন শ্যামল কান্তি।

এদিকে কান ধরে উঠ-বসের ঘটনার দুই মাসের মাথায় ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষক মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে। প্রাথমিক শুনানি করে আদালত প্রথম দুটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেও মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।

সেই তদন্ত শেষে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েই আদালত বুধবার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়।

অবশ্য শ্যামল কান্তি বরাবরই ঐ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

গত বছরের ১৩ মে ঐ স্কুলে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G